২০১৯ সালের ৮ জুলাই ফয়েজ মিয়ার সঙ্গে চায়না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৩ দিন পর ৩০ জুলাই রাতে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান ফয়েজ মিয়া। সেই রাতে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফয়েজ। স্ত্রীকে হত্যা হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরো ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সায়েদুর রহমান খান এ রায় ঘোষণা করেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ফয়েজ মিয়া অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের মধ্য আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রী নিহত চায়না আক্তার একই উপজেলার আক্কাছ মিয়ার মেয়ে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. শাহ আজিজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৮ জুলাই মধ্য আলীনগর গ্রামের ছমির উদ্দিনের ছেলে ফয়েজ মিয়ার সঙ্গে আলীরগর উত্তরপাড়ার আক্কাছ মিয়ার মেয়ে চায়না আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের ২৩ দিন পর ৩০ জুলাই রাতে শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান ফয়েজ মিয়া। সেই রাতে চায়নার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ফয়েজ। সকাল ৭টার দিকে নাস্তা খাওয়ার জন্য শাশুড়ি তাকে ডাকতে এলে সে জানায়, তার বাড়ি থেকে জরুরি ফোন এসেছে। এই মুহূর্তে তাকে চলে যেতে হবে।
এদিকে অনেকক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে বড় বোন ছায়েরা আক্তার ঘরে গিয়ে দেখেন, চায়নার গলায় ওড়না পেঁচানো। পরে তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন ছুটে আসে। ঘটনার পরদিন চায়নার বাবা আক্কাছ মিয়া বাদী হয়ে ফয়েজ মিয়াকে আসামি করে অষ্টগ্রাম থানায় হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২০ অক্টোবর অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।